জার্মানিতে জ্বালানি সংকট নিরসনের পাশাপাশি আসন্ন শীত মৌসুমে সব ধরনের জ্বালানি পন্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। আর গণতান্ত্রিক পন্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় জার্মানিসহ গোটা ইউরোপে বিরাজ করছে এক টালমাটাল পরিস্থিতি। বিশেষ করে মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে ইউরোপের অর্থনীতির চিত্র।
গ্রীষ্মে জ্বালানির অভাব তেমনটা না ভোগালেও আসন্ন শীত মৌসুমে তেল-গ্যাসের দুশ্চিন্তায় অস্থির পশ্চিমারা। তবে সংকট নিরসন ও সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে বলে দেশটির পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটে পড়ার শঙ্কা থাকায় আমরা দেশের উত্তরের উপকূলে প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি এলএনজি স্টেশন তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যাতে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর আমাদের নির্ভর করতে না হয়।
তবে এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান না হওয়ায় শলজ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থতার অভিযোগ আনেন পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধীদল সিডিইউসহ অন্য দলগুলো। সেই অভিযোগের জবাবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, যুদ্ধ অবসানে সম্ভাব্য সব পথই অনুসরণ করে যাচ্ছে জার্মানি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।